বৈশিষ্ট্যযুক্ত পোস্ট

কবিতা

ছবি
Facebook.com/gorabasunia এ পৃথিবীর বুকে তুমি প্রস্ফুটিত সব চেয়ে সুন্দর তম ফুল, শুধু তোমা কেই দেখার জন্যে আমার হৃদয় হয় আকুল, তোমাকে সুন্দর লাগে তাই দেখি সেকি মোর কোন ভুল ? তোমার জন্যে কেঁদে কেঁদে মরে আমার পরাণ বুলবুল। শিশিরে ভেজা পাপড়ির মত ঠোট মেঘের মত নরম চুল, ফুলের চেয়েও রূপসী যে তুমি হরিণ নয়ন তোমার অতুল । তোমার রুপের আসক্তিতে ভাসে আমার হৃদয়ের দু কূল, তুমি সব চেয়ে সুবাসিত বিনোদিনী আমার বাগিচার ফুল ।

পুর্ণেন্দু পত্রীর কবিতা

পুর্ণেন্দু পত্রী কথোপকথন – -তোমাদের ওখানে এখন লোডশেডিং কি রকম? -বোলো না। দিন নেই, রাত নেই, জ্বালিয়ে মারছে। -তুমি তখন কী করো? -দরজা খুলে দিই জানালা খুলে দিই র্প দা খুলে দিই। আজকাল হাওয়াও হয়েছে তেমনি ফন্দিবাজ । যেমনি অন্ধকার, অমনি মানুষের ত্রিসীমানা ছেড়ে দৌড় -তুমি তখন কি করো? -গায়ে জামা-কাপড় রাখতে পারি না। সব খুলে দিই, চোখের চশমা, চুলের বিনুনি, বুকের আঁচল লাজ-লজ্জ্বা সব । -টাকা থাকলে তোমার নামে ঘাট বাঁধিয়ে দিতুম কাশী মিত্তিরে এমন তোমার উথাল – পাতল দয়া। তুমি অন্ধকারকে সর্বস্ব, সব অগ্নিস্ফুলিঙ্গ খুলে দিত পার কত সহজে। আর শুভঙ্কর মেঘের মত একটু ঝুঁকলেই কি হচ্ছে কি? শুভঙ্কর তার খিদে- তেষ্টার ডালপালা নাড়লেই কি হচ্ছে কি ? শুভঙ্কর রোদে – পোড়া হরিণের জিভ নাড়লেই কি হচ্ছে কি? পরের জন্মে দশদিগন্তের অন্ধকার হব আমি। যে টেলিফোন আসার কথা যে টেলিফোন আসার কথা সে টেলিফোন আসেনি। প্রতীক্ষাতে প্রতীক্ষাতে সূর্য ডোবে রক্তপাতে সব নিভিয়ে একলা আকাশ নিজের শূণ্য বিছানাতে। একান্তে যার হাসির কথা হাসেনি। যে টেলিফোন আসার কথা আসেনি। অপেক্ষমান বুকের ভিতর কাঁসন ঘন্টা শাঁখের উলু একশ বনেরবাতাস এস একটা গাছে হুলুস্থুলু আজ বুঝি তার ইচ্ছে আছে ডাকবে আলিঙ্গনের কাছে দীঘির পড়ে হারিয়ে যেতে সাঁতার জলের মত্ত নাচে। এখনো কি ডাকার সাজে সাজেনি? যে টেলিফোন বাজার কথা বাজেনি। তৃষ্ণা যেন জলের ফোঁটা বাড়তে বাড়তে বৃষ্টি বাদল তৃষ্ণা যেন ধূপের কাঠি গন্ধে আঁকে সুখের আদল খাঁ খাঁ মনের সবটা খালি মরা নদীর চড়ার বালি অথচ ঘর দুয়ার জুড়ে তৃষ্ণা বাজায় করতালি। প্রতীক্ষা তাই প্রহরবিহীন আজীবন ও সর্বজনীন সরোবর তো সবার বুকেই, পদ্ম কেবল পর্দানশীল। স্বপ্নকে দেয় সর্বশরীর, সমক্ষে সে ভাসে না। যে টেলিফোন আসার কথা সচরাচর আসে না। কথোপকথন – ১ -কি করছো? – ছবি আকঁছি। – ওটা তো একটা বিন্দু। – তুমি ছুঁয়ে দিলেই বৃত্ত হবে। কেন্দ্র হবে তুমি। আর আমি হবো বৃত্তাবর্ত। – কিন্তু আমি যে বৃত্তে আবদ্ধ হতে চাই না। আমি চাই অসীমের অধিকার। – একটু অপেক্ষা করো। . . . এবার দেখো। ওটা কি? ওটা তো মেঘ। – তুমি ছুঁয়ে দিলেই আকাশ হবে। তুমি হবে নি:সীম দিগন্ত। আর আমি হবো দিগন্তরেখা। – কিন্তু সে তো অন্ধকার হলেই মিলিয়ে যাবে। আমি চিরন্তন হতে চাই। – আচ্ছা, এবার দেখো। – একি! এ তো জল। – তুমি ছুঁয়ে দিলেই সাগর হবে। তিনভাগ জলের তুমি হবে জলকন্যা। আর আমি হবো জলাধার। – আমার যে খন্ডিতে বিশ্বাস নেই। আমার দাবী সমগ্রের। – একটু অপেক্ষা করো। এবার চোখ খোল। – ওটা কি আঁকলে? ওটা তো একটা হৃদয়। – হ্যাঁ, এটা হৃদয়। যেখানে তুমি আছো অসীম মমতায়, চিরন্তন ভালোবাসায়। এবার বলো আর কি চাই তোমার? – সারাজীবন শুধু ওখানেই থাকতে চাই। কথোপকথন ১১ – তুমি আজকাল বড্ড সিগারেট খাচ্ছ শুভন্কর। – এখুনি ছুঁড়ে ফেলে দিচ্ছি… কিন্তু তার বদলে?? –বড্ড হ্যাংলা। যেন খাওনি কখনো? – খেয়েছি। কিন্তু আমার খিদের কাছে সে সব নস্যি। কলকাতাকে এক খাবলায় চিবিয়ে খেতে পারিআমি, আকাশটাকে ওমলেটের মতো চিরে চিরে, নক্ষত্রগুলোকে চিনেবাদামের মতো টুকটাক করে, পাহাড়গুলোকে পাঁপর ভাজার মতো মড়মড়িয়ে, আর গঙ্গা? সে তো এক গ্লাস সরবত। –থাক। খুব বীরপুরুষ। –সত্যি তাই… পৃথিবীর কাছে আমি এই রকমই ভয়ন্কর বিস্ফোরণ। কেবল তোমার কাছে এলেই দুধের বালক, কেবল তোমার কাছে এলেই ফুটপাতের নুলো ভিখারি, এক পয়সা, আধ পয়সা কিংবা এক টুকরো পাউরুটির বেশী আর কিছু চিনিয়ে নিতে পারিনা। –মিথ্যুক..। –কেন? –সেদিন আমার সর্বাঙ্গের শাড়ি ধরে টানমারনি? – হতে পারে। ভিখারিদের কি ডাকাত হতে ইচ্ছে করবে না একদিনও?? নিষিদ্ধ ভালোবাসার তিন সাক্ষী তুমি যখন শাড়ির আড়াল থেকে শরীরের জ্যোৎস্নাকে একটু একটু করে খুলছিলে, পর্দা সরে গিয়ে অকস্মাৎ এক আলোকিত মঞ্চ, সবুজ বিছানায় সাদা বাগান, তুমি হাত রেখেছিলে আমার উৎক্ষিপ্ত শাখায় আমি তোমার উদ্বেলিত পল্লবে, ঠিক তখনই একটা ধুমসো সাদা বেড়াল মুখ বাড়িয়েছিল খোলা জানালায়। অন্ধকারে ও আমাদের ভেবেছিল রুই মৃগেলের হাড় কাঁটা। পৃথিবীর নরনারীরা যখন নাইতে নামেআকাঙ্খার নদীতে তখন রুই মৃগেলের চেয়ে আরো কত উজ্জ্বল দীর্ঘশ্বাস সহ সেই দৃশ্য দেখে বেড়ালটা ফিরে চলে গেলো হাড়কাঁটার খোঁজে অন্য কোথা অন্যকোনখানে। দ্বিতীয় সাক্ষী ছিল তোমার হত্যাকারী চোখ আর তৃতীয় সাক্ষী আমার রক্তের সঙ্গে ওতপ্রোত শুয়ে আছে। সেই গল্পটা আমার সেই গল্পটা এখনো শেষ হয়নি। শোনো। পাহাড়টা, আগেই বলেছি ভালোবেসেছিলো মেঘকে আর মেঘ কি ভাবে শুকনো খটখটে পাহাড়টাকে বানিয়ে তুলেছিল ছাব্বিশ বছরের ছোকরা সে তো আগেই শুনেছো। সেদিন ছিলো পাহাড়টার জন্মদিন। পাহাড় মেঘকে বললে – আজ তুমি লাল শাড়ি পরে আসবে। মেঘ পাহাড়কে বললে – আজ তোমাকে স্নান করিয়ে দেবো চন্দন জলে। ভালোবাসলে নারীরা হয়ে যায় নরম নদী পুরুষেরা জ্বলন্ত কাঠ। সেইভাবেই মেঘ ছিল পাহাড়ের আলিঙ্গনের আগুনে পাহাড় ছিলো মেঘের ঢেউ-জলে। হঠাৎ, আকাশ জুড়ে বেজে উঠলো ঝড়ের জগঝম্প ঝাঁকড়া চুল উড়িয়ে ছিনতাই এর ভঙ্গিতে ছুটে এল এক ঝাঁক হাওয়া মেঘের আঁচলে টান মেরে বললে – ওঠ্‌ ছুঁড়ি! তোর বিয়ে । এখনো শেষ হয়নি গল্পটা। বজ্রের সঙ্গে মেঘের বিয়েটা হয়ে গেলো ঠিকই কিন্তু পাহাড়কে সে কোনোদিন ভুলতে পারলনা। বিশ্বাস না হয় তো চিরে দেখতে পারো পাহাড়টার হাড়-পাঁজর, ভিতরে থৈথৈ করছে শত ঝর্ণার জল।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

ভালবাসার কবিতা

নষ্ট হবে

এত হাসি কোথায় পেলে