বৈশিষ্ট্যযুক্ত পোস্ট

কবিতা

ছবি
Facebook.com/gorabasunia এ পৃথিবীর বুকে তুমি প্রস্ফুটিত সব চেয়ে সুন্দর তম ফুল, শুধু তোমা কেই দেখার জন্যে আমার হৃদয় হয় আকুল, তোমাকে সুন্দর লাগে তাই দেখি সেকি মোর কোন ভুল ? তোমার জন্যে কেঁদে কেঁদে মরে আমার পরাণ বুলবুল। শিশিরে ভেজা পাপড়ির মত ঠোট মেঘের মত নরম চুল, ফুলের চেয়েও রূপসী যে তুমি হরিণ নয়ন তোমার অতুল । তোমার রুপের আসক্তিতে ভাসে আমার হৃদয়ের দু কূল, তুমি সব চেয়ে সুবাসিত বিনোদিনী আমার বাগিচার ফুল ।

ভালো বাসার কবিতা

সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় কথা আছে বহুক্ষণ মুখোমুখি চুপচাপ, একবার চোখ তুলে সেতু আবার আলাদা দৃষ্টি, টেবিলে রয়েছে শুয়ে পুরোনো পত্রিকা প্যান্টের নিচে চটি, ওপাশে শাড়ির পাড়ে দুটি পা-ই ঢাকা এপাশে বোতাম খোলা বুক, একদিন না-কামানো দাড়ি ওপাশে এলো খোঁপা, ব্লাউজের নীচে কিছু মসৃণ নগ্নতা বাইরে পায়ের শব্দ, দূরে কাছে কারা যায় কারা ফিরে আসে বাতাস আসেনি আজ, রোদ গেছে বিদেশ ভ্রমণে। আপাতত প্রকৃতির অনুকারী ওরা দুই মানুষ-মানুষী দু‘খানি চেয়ারে স্তব্ধ, একজন জ্বলে সিগারেট অন্যজন ঠোঁটে থেকে হাসিটুকু মুছেও মোছে না আঙুলে চিকচিকে আংটি, চুলের কিনারে একটু ঘুম ফের চোখ তুলে কিছু স্তব্ধতার বিনিময়, সময় ভিখারী হয়ে ঘোরে অথচ সময়ই জানে, কথা আছে, ঢের কথা আছে। চোখ নিয়ে চলে গেছে এই যে বাইরে হু হু ঝড়, এর চেয়ে বেশী বুকের মধ্যে আছে কৈশোর জুড়ে বৃষ্টি বিশাল, আকাশে থাকুক যত মেঘ, যত ক্ষণিকা মেঘ উড়ে যায় আকাশ ওড়ে না আকাশের দিকে উড়েছে নতুন সিঁড়ি আমার দু বাহু একলা মাঠের জারুলের ডালপালা কাচ ফেলা নদী যেন ভালোবাসা ভালোবাসার মতো ভালোবাসা দু‘দিকের পার ভেঙে নরীরা সবাই ফুলের মতন, বাতাসে ওড়ায় যখন তখন রঙিন পাপড়ি বাতাস তা জানে, নারীকে উড়াল দেয়ে নিয়ে যায় তাই আমি আর প্রকৃতি দেখি না, প্রকৃতি আমার চোখ নিয়ে চলে গেছে! কেউ কথা রাখেনি কেউ কথা রাখেনি, তেত্রিশ বছর কাটলো, কেউ কথা রাখেনি ছেলেবেলায় এক বোষ্টুমী তার আগমনী গান হঠাৎ থামিয়ে বলেছিল শুক্লা দ্বাদশীর দিন অন্তরাটুকু শুনিয়ে যাবে তারপর কত চন্দ্রভূক অমাবস্যা চলে গেলো, কিন্তু সেই বোষ্টুমী আর এলোনা পঁচিশ বছর প্রতিক্ষায় আছি। মামা বাড়ির মাঝি নাদের আলী বলেছিল, বড় হও দাদাঠাকুর তোমাকে আমি তিন প্রহরের বিল দেখাতে নিয়ে যাবো সেখানে পদ্মফুলের মাথায় সাপ আর ভ্রমর খেলা করে! নাদের আলী, আমি আর কত বড় হবো? আমার মাথা এ ঘরের ছাদ ফুঁড়ে আকাশ স্পর্শ করলে তারপর তুমি আমায় তিন প্রহরের বিল দেখাবে? একটাও রয়্যাল গুলি কিনতে পারিনি কখনো লাঠি-লজেন্স দেখিয়ে দেখিয়ে চুষেছে লস্করবাড়ির ছেলেরা ভিখারীর মতন চৌধুরীদের গেটে দাঁড়িয়ে দেখেছি ভিতরে রাস-উৎসব অবিরল রঙের ধারার মধ্যে সুবর্ণ কঙ্কণ পরা ফর্সা রমণীরা কত রকম আমোদে হেসেছে আমার দিকে তারা ফিরেও চায়নি! বাবা আমার কাঁধ ছুঁয়ে বলেছিলেন, দেখিস, একদিন, আমরাও… বাবা এখন অন্ধ, আমাদের দেখা হয়নি কিছুই সেই রয়্যাল গুলি, সেই লাঠি-লজেন্স, সেই রাস-উৎসব আমায় কেউ ফিরিয়ে দেবেনা! বুকের মধ্যে সুগন্ধি রুমাল রেখে বরুণা বলেছিল, যেদিন আমায় সত্যিকারের ভালবাসবে সেদিন আমার বুকেও এ-রকম আতরের গন্ধ হবে! ভালোবাসার জন্য আমি হাতের মুঠেয়ে প্রাণ নিয়েছি দূরন্ত ষাঁড়ের চোখে বেঁধেছি লাল কাপড় বিশ্বসংসার তন্ন তন্ন করে খুঁজে এনেছি ১০৮টা নীল পদ্ম তবু কথা রাখেনি বরুণা, এখন তার বুকে শুধুই মাংসের গন্ধ এখনো সে যে-কোনো নারী। কেউ কথা রাখেনি, তেত্রিশ বছর কাটল, কেউ কথা রাখে না! মন ভাল নেই মন ভাল নেই মন ভাল নেই মন ভাল নেই কেউ তা বোঝে না সকলি গোপন মুখে ছায়া নেই চোখ খোলা তবু চোখ বুজে আছি কেউ তা দেখেনি প্রতিদিন কাটে দিন কেটে যায় আশায় আশায় আশায় আশায় আশায় আশায় এখন আমার ওষ্ঠে লাগে না কোনো প্রিয় স্বাদ এমনকি নারী এমনকি নারী এমনকি নারী এমন কি সুরা এমন কি ভাষা মন ভাল নেই মন ভাল নেই মন ভাল নেই বিকেল বেলায় একলা একলা পথে ঘুরে ঘুরে একলা একলা পথে ঘুরে ঘুরে পথে ঘুরে ঘুরে কিছুই খুঁজি না কোথাও যাই না কারুকে চাইনি কিছুই খুঁজি না কোথাও যাই না আমিও মানুষ আমার কি আছে অথবা কি ছিল আমার কি আছে অথবা কি ছিল ফুলের ভিতরে বীজের ভিতরে ঘুণের ভিতরে যেমন আগুন আগুন আগুন আগুন আগুন মন ভাল নেই মন ভাল নেই মন ভাল নেই তবু দিন কাটে দিন কেটে যায় আশায় আশায় আশায় আশায় আশায় আশায় আশায় আশায়…… যদি নির্বাসন দাও যদি নির্বাসন দাও, আমি ওষ্ঠে অঙ্গুরী ছোঁয়াবো আমি বিষপান করে মরে যাবো । বিষন্ন আলোয় এই বাংলাদেশ নদীর শিয়রে ঝুঁকে পড়া মেঘ প্রান্তরে দিগন্ত নির্নিমেষ- এ আমারই সাড়ে তিন হাত ভূম যদি নির্বাসন দাও, আমি ওষ্ঠে অঙ্গুরী ছোঁয়াবো আমি বিষপান করে মরে যাবো । ধানক্ষেতে চাপ চাপ রক্ত এইখানে ঝরেছিল মানুষের ঘাম এখনো স্নানের আগে কেউ কেউ করে থাকে নদীকে প্রণাম এখনো নদীর বুকে মোচার খোলায় ঘুরে লুঠেরা, ফেরারী । শহরে বন্দরে এত অগ্নি-বৃষ্টি বৃষ্টিতে চিক্কণ তবু এক একটি অপরূপ ভোর, বাজারে ক্রুরতা, গ্রামে রণহিংসা বাতাবি লেবুর গাছে জোনাকির ঝিকমিক খেলা বিশাল প্রাসাদে বসে কাপুরুষতার মেলা বুলেট ও বিস্পোরণ শঠ তঞ্চকের এত ছদ্মবেশ রাত্রির শিশিরে কাঁপে ঘাস ফুল– এ আমারই সাড়ে তিন হাত ভূমি যদি নির্বাসন দাও, আমি ওষ্ঠে অঙ্গুরী ছোঁয়াবো আমি বিষপান করে মরে যাবো । কুয়াশার মধ্যে এক শিশু যায় ভোরের ইস্কুলে নিথর দীঘির পারে বসে আছে বক আমি কি ভুলেছি সব স্মৃতি, তুমি এত প্রতারক ? আমি কি দেখিনি কোন মন্থর বিকেলে শিমুল তুলার ওড়াওড়ি ? মোষের ঘাড়ের মতো পরিশ্রমী মানুষের পাশে শিউলি ফুলের মতো বালিকার হাসি নিইনি কি খেজুর রসের ঘ্রাণ শুনিনি কি দুপুরে চিলের তীক্ষ্ণ স্বর ? বিষন্ন আলোয় এই বাংলাদেশ… এ আমারই সাড়ে তিন হাত ভূমি যদি নির্বাসন দাও, আমি ওষ্ঠে অঙ্গুরী ছোঁয়াবো আমি বিষপান করে মরে যাবো… । ভালোবাসা ভালোবাসা নয় স্তনের ওপরে দাঁত? ভালোবাসা শুধু শ্রাবণের হা-হুতাশ? ভালোবাসা বুঝি হৃদয় সমীপে আঁচ? ভালোবাসা মানে রক্ত চেটেছে বাঘ! ভালোবাসা ছিল ঝর্ণার পাশে একা সেতু নেই আকাশে পারাপার ভালাবাসা ছিল সোনালি ফসলে হওয়া ভালোবাসা ছিল ট্রেন লাইনের রোদ। শরীর ফুরোয় ঘামে ভেসে যায় বুক অপর বহুতে মাথা রেখে আসে ঘুম ঘুমের ভিতরে বারবার বলি আমি ভালোবাসাকেই ভালবাসা দিয়ে যাবো।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

ভালবাসার কবিতা

নষ্ট হবে

এত হাসি কোথায় পেলে