বৈশিষ্ট্যযুক্ত পোস্ট

কবিতা

ছবি
Facebook.com/gorabasunia এ পৃথিবীর বুকে তুমি প্রস্ফুটিত সব চেয়ে সুন্দর তম ফুল, শুধু তোমা কেই দেখার জন্যে আমার হৃদয় হয় আকুল, তোমাকে সুন্দর লাগে তাই দেখি সেকি মোর কোন ভুল ? তোমার জন্যে কেঁদে কেঁদে মরে আমার পরাণ বুলবুল। শিশিরে ভেজা পাপড়ির মত ঠোট মেঘের মত নরম চুল, ফুলের চেয়েও রূপসী যে তুমি হরিণ নয়ন তোমার অতুল । তোমার রুপের আসক্তিতে ভাসে আমার হৃদয়ের দু কূল, তুমি সব চেয়ে সুবাসিত বিনোদিনী আমার বাগিচার ফুল ।

একবার বলছি তোমাকে

আহসান হাবীব অসুখ আমি বড় অসুখী। আমার আজন্ম অসুখ। না না অসুখে আমার জন্ম। এই সব মোহন বাক্যের জাল ফেলে পৃথিবীর বালক-স্বভাব কিছু বয়স্ক চতুর জেলে মানব-সাগরে। সম্প্রতি উদ্দাম হাতে নৌকো বায়। আমরা বিমূঢ়। কয়েকটি যুবক এই অসুখ-অসুখ দর্শনের মিহি তারে গেঁথে নিয়ে কয়েকটি যুবতী হঠাৎ শৈশবে গেলো ফিরে এবং উন্মুক্ত মাঠে সভ্যতার কৃত্রিম ঢাকনায় দুঃসাহস-আগুন জ্বালিয়ে তারস্বরে কেবল চিৎকার করে : আমরা বড় অস্থির। কী চাই, আমাদের কী চাই, কী চাই! ওরা বলে : সন্ত্রাসতাড়িত আমরা সন্ত্রাসিত পৃথিবীতে তাই আমরা কেবল ছুটি। বলে আর ঊর্ধ্বশ্বাসেছোটে। কোথায় ছুটেছে যদি জানতে চাও ওরা অনায়াসে জবাবে জানায়, নেই ঠিকানা, অথবা কোনো ঠিকানার বাসনাও নেই। নৈরাশ্যের হাওয়া থেকে ক্রোধের আগুন জ্বেলে নিয়ে ওরা বলে : পুড়ুক পুড়ুক দু’পাশের শ্যামশোভা, পুরনো ঘরের পুরনো সম্ভার সব পোড়াবো এবং শূন্যতাকে একমাত্র সত্য বলে রেখে যাবো দুয়ারে সবার। আর এই উন্মাদ উৎসবে যদি হঠাৎ কখনো ব্যথিত প্রবীণ কোনও পথচারী প্রশ্ন করে : শূন্যতার বোঝা কে বয় এমন করে, কোন অর্থে, কী লাভ, কী লাভ! ওরা বলে : অর্থ নেই। অর্থ নেই এ জীবনে এই শুধু সার জেনেছি। জেনেছি কোনো লাভ নেই অর্থের সন্ধানে। লাভ নেই লাভের আশায় কালক্ষেপে অথবা শূন্যের কড়ি গুণে গুণে লাভ নেই অলিক ছায়ায়। তার চেয়ে উদ্দাম জোয়ারে ভেসে যাবো। এবং যেহেতু ভেসে ভেসে ডুবে যাওয়া একমাত্র সত্য পৃথিবীতে সত্যের সজ্জিত বৃদ্ধ গাধাটাকে ডুবিয়ে আমরাও কিছুকাল মত্ত হাতে নৌকা বেয়ে জোয়ারের জলে ভেসে যাবো। এবং একদা ডুবে যাবো। দোতলার ল্যান্ডিং মুখোমুখি দুজন মুখোমুখি ফ্ল্যাট একজন সিঁড়িতে, একজন দরজায় : আপনারা যাচ্ছেন বুঝি ? : চলে যাচ্ছি, মালপত্র উঠে গেছে সব । : বছর দুয়েক হল, তাই নয় ? : তারো বেশী । আপনার ডাক নাম শানু, ভালো নাম ? : শাহানা, আপনার ? : মাবু । : জানি । : মাহবুব হোসেন । আপনি খুব ভালো সেলাই জানেন । : কে বলেছে । আপনার তো অনার্স ফাইন্যাল, তাই নয় ? : এবার ফাইন্যাল । : ফিজিক্স-এ অনার্স । : কী আশ্চর্য ! আপনি কেন ছাড়লেন হঠাৎ ? : মা চান না । মানে ছেলেদের সঙ্গে বসে… : সে যাক গে, পা সেরেছে ? : কী করে জানলেন ? : এই আর কি ! সেরে গেছে ? : ও কিছুনা , প‌যাসেজটা পিছলে ছিল মানে… : সত্যি নয় । উচুঁ থেকে পড়ে গিয়ে… : ধ্যাৎ । খাবার টেবিলে রোজ মাকে অতো জ্বালানো কি ভালো ? : মা বলেছে ? : শুনতে পাই । বছর দুয়েক হল, তাই নয় ? : তারো বেশী । আপনার টবের গাছে ফুল এসেছে ? : নেবেন ? না থাক । রিকসা এল, মা এলেন , যাই । : আপনি সন্ধ্যে বেলা ওভাবে কখনও পড়বেননা, চোখ যাবে, যাই । : হলুদ শার্টের মাঝখানে বোতাম নেই, লাগিয়ে নেবেন, যাই । : যান, আপনার মা আসছেন । মা ডাকছেন, যাই। একবার বলেছি তোমাকে একবার বলেছি, তোমাকে আমি ভালোবাসি। একবার বলেছি, তোমাকে আমি, তোমাকেই ভালোবাসি। বল এখন সে কথা আমি ফেরাব কেমনে ! আমি একবার বলেছি তোমাকে … এখন তোমাকে আমি ঘৃণা করি। এখন তোমার দৃষ্টির কবলে এলে ক্ষতস্থান জ্বলে জ্বলে ওঠে। তোমার সান্নিধ্যে এলে তুমি উষ্ণ নাভিমূল থেকে বাতাসে ছড়াও তীব্র সাপিনীর তরল নিঃস্বাস। আমি যতবার ছুটতে চাই, তোমার দৃষ্টির বাইরেযেতে চাই, তুমি দু চোখে কী ইন্দ্রজাল মেলে রাখ ! আমি ছুটতেও পারি না আমি ফেরাতে পারি না কথা আমি একবার বলেছি, তোমাকে … সম্রাজ্ঞীর বেশে আছ। নতজানু আমি দাসানুদাসের ভঙ্গি করপুটে, দেখি তোমার মুখের রেখা অবিচল, স্থির জঙ্ঘা তোলে না টঙ্কার, তুমি পবিত্রতা পবিত্রতা বলে অস্পষ্ট চিত্কার কর, তুমি কেবলি মালিন্য দেখ, অশ্লীলতা, ক্রমান্বয়ে ঘৃণা ক্রোধ বাড়ে, উত্তেজনা বাড়ে নামে উষ্ণ জলস্রোত। তুমি এইভাবে প্রবল ঘৃণায় আমাকে ভাসিয়ে দিয়ে অহঙ্কার রাখতে চাওঅটুট। তবুও পৃথিবীতে আছে কিছু মানুষের অবস্থান, তারা অপমানে ধন্য হয় উপেক্ষায় ঋজু; তারা স্বভাব-কাঙাল ! যদি একবার বলে তবে ফেরাতে পারে না। আমি ফেরাতে পারি না। আমি একবার বলেছি, তোমাকে আমি ভালোবাসি। ভালোবাসা ভালোবাসা ভালোবাসা ভালোবাসা ! সে কেমন, কোন দীপ্র স্বর্গীয় প্রতাপ যার মৃত্যু নেই জন্মান্তর নেই? এই খানে নিরঞ্জনা এইখানে নিরঞ্জনা নদী ছিলো এই ঘাটে হাজার গৌতম স্নান করে শুদ্ধ হয়েছেন। নদী আছে ঘাট আছে সেই শুদ্ধ জলের অভাব অশুদ্ধ মানুষ খুব বেড়ে গেছে সারিবদ্ধ স্নানার্থী মানুষ মরানদী মরাস্রোত ছাড়িয়ে এখন _ বলে দাও যেতে হবে অন্য কোনো নিরঞ্জনা নদীর সন্ধানে। আমি কোনো আগন্তুক নই আসমানের তারা সাক্ষী সাক্ষী এই জমিনের ফুল, এই নিশিরাইত বাঁশবাগান বিস্তর জোনাকি সাক্ষী সাক্ষী এই জারুল জামরুল, সাক্ষী পূবের পুকুর, তার ঝাকড়া ডুমুরের পালেস্থিরদৃষ্টি মাছরাঙা আমাকে চেনে আমি কোনো অভ্যাগত নই খোদার কসম আমি ভিনদেশী পথিক নই আমি কোনো আগন্তুক নই আমি কোনো আগন্তুক নই, আমি ছিলাম এখানে, আমি স্বাপ্নিক নিয়মে এখানেই থাকি আর এখানে থাকার নাম সর্বত্রই থাকা - সারা দেশে। আমি কোনো আগন্তুক নই। এই খর রৌদ্র জলজ বাতাস মেঘ ক্লান্ত বিকেলের পাখিরা আমাকে চেনে তারা জানে আমি কোনো অনাত্মীয় নই। কার্তিকের ধানের মঞ্জরী সাক্ষী সাক্ষী তার চিরোল পাতার টলমল শিশির, সাক্ষী জ্যোৎস্নার চাদরে ঢাকা নিশিন্দার ছায়া অকাল বার্ধক্যে নত কদম আলী তার ক্লান্ত চোখের আঁধার আমি চিনি, আমি তার চিরচেনা স্বজন একজন। আমি জমিলার মা’র শূন্য খা খা রান্নাঘর শুকনো থালা সব চিনি সে আমাকে চেনে হাত রাখো বৈঠায় লাঙ্গলে, দেখো আমার হাতের স্পর্শ লেগে আছে কেমন গভীর। দেখো মাটিতে আমার গন্ধ, আমার শরীরে লেগে আছে এই স্নিগ্ধ মাটির সুবাস। আমাকে বিশ্বাস করো, আমি কোনো আগন্তুক নই। দু’পাশে ধানের ক্ষেত সরু পথ সামনে ধু ধু নদীর কিনার আমার অস্তিত্বে গাঁথা। আমি এই উধাও নদীর মুগ্ধ এক অবোধ বালক। শরতে ফূল ফুল তুল তুল গা ভেজা শিশিরে, বুল বুল মশগুল, কার গান গাহিরে? তর বর উঠে পর রাত ভোর দেখ না? হাত তুলে প্রাণ খুলে স্রষ্টারে ডাক না.. ঝিক মিক দশ দিক নাই পিক পাপিয়া.. সাদা বক চক চক উড়ে যায় ডাকিয়া.. বিল ঝিল খিল খিল লাল নীল বরণে, গাছে গাছে ফিঙ্গে নাচে চঞ্জল চরনে। ভেজা ভেজা তাজা তাজা শেফালির সুবাসে, শিশুদল কোলাহল করে নানা হরষে। টিদার জরিপার শ্যাম শাড়ী অঙ্গে এ্যলো কেশে এলো হেসে শরত এ বঙ্গে..

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

ভালবাসার কবিতা

নষ্ট হবে

এত হাসি কোথায় পেলে