বৈশিষ্ট্যযুক্ত পোস্ট

কবিতা

ছবি
Facebook.com/gorabasunia এ পৃথিবীর বুকে তুমি প্রস্ফুটিত সব চেয়ে সুন্দর তম ফুল, শুধু তোমা কেই দেখার জন্যে আমার হৃদয় হয় আকুল, তোমাকে সুন্দর লাগে তাই দেখি সেকি মোর কোন ভুল ? তোমার জন্যে কেঁদে কেঁদে মরে আমার পরাণ বুলবুল। শিশিরে ভেজা পাপড়ির মত ঠোট মেঘের মত নরম চুল, ফুলের চেয়েও রূপসী যে তুমি হরিণ নয়ন তোমার অতুল । তোমার রুপের আসক্তিতে ভাসে আমার হৃদয়ের দু কূল, তুমি সব চেয়ে সুবাসিত বিনোদিনী আমার বাগিচার ফুল ।

রুদ্র মুহৃম্মদ এর কবিতা সমূহ

রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ আমার ভিতরে বাহিরে অন্তরে অন্তরে আমার ভিতরে বাহিরে অন্তরে অন্তরে , আছো তুমি হৃদয় জুড়ে। ঢেকে রাখে যেমন কুসুম, পাপড়ির আবডালে ফসলের ঘুম। তেমনি তোমার নিবিঢ় চলা, মরমের মূল পথ ধরে। পুষে রাখে যেমন ঝিনুক , খোলসের আবরণে মুক্তোর সুখ। তেমনি তোমার গভীর ছোঁয়া, ভিতরের নীল বন্দরে। ভাল আছি ভাল থেকো, আকাশের ঠিকানায় চিঠি লিখো। দিয়ো তোমার মালাখানি, বাউলের এই মনটারে। আমার ভিতরে বাহিরে……… গুচ্ছ কবিতা ১. থাকুক তোমার একটু স্মৃতি থাকুক একলা থাকার খুব দুপুরে একটি ঘুঘু ডাকুক ২. দিচ্ছো ভীষণ যন্ত্রণা বুঝতে কেন পাছো না ছাই মানুষ আমি, যন্ত্র না! ৩. চোখ কেড়েছে চোখ উড়িয়ে দিলাম ঝরা পাতার শোক। ভালবাসার সময় তো নেই ভালবাসার সময় তো নেই ব্যস্ত ভীষন কাজে, হাত রেখো না বুকের গাড় ভাজে। ঘামের জলে ভিজে সাবাড় করাল রৌদ্দুরে, কাছএ পাই না, হৃদয়- রোদ দূরে। কাজের মাঝে দিন কেটে যায় কাজের কোলাহল তৃষ্নাকে ছোয় ঘড়ায় তোলা জল। নদী আমার বয় না পাশে স্রোতের দেখা নেই, আটকে রাখে গেরস্থালির লেই। তোমার দিকে ফিরবো কখন বন্দী আমার চোখ পাহারা দেয় খল সামাজিক নখ। উল্টো ঘুড়ি এতো সহজেই ভালোবেসে ফেলি কেন! বুঝি না আমার রক্তে কি আছে নেশা- দেবদারু-চুলে উদাসী বাতাস মেখে স্বপ্নের চোখে অনিদ্রা লিখি আমি, কোন বেদনার বেনোজলে ভাসি সারাটি স্নিগ্ধ রাত? সহজেই আমি ভালোবেসে ফেলি, সহজে ভুলিনা কিছু- না-বলা কথায় তন্ত্রে তনুতে পুড়ি, যেন লাল ঘুড়ি একটু বাতাস পেয়ে উড়াই নিজেকে আকাশের পাশাপাশি। সহজে যদিও ভালোবেসে ফেলি সহজে থাকি না কাছে, পাছে বাঁধা পড়ে যাই। বিস্মিত তুমি যতোবার টানো বন্ধন-সুতো ধ’রে, আমি শুধু যাই দূরে। আমি দূরে যাই- স্বপ্নের চোখে তুমি মেখে নাও ব্যথা-চন্দন চুয়া, সারাটি রাত্রি ভাসো উদাসীন বেদনার বেনোজলে… এতো সহজেই ভালোবেসে ফ্যালো কেন? দূরে আছো দূরে তোমাকে পারিনি ছুঁতে, তোমার তোমাকে- উষ্ণ দেহ ছেনে ছেনে কুড়িয়েছি সুখ, পরস্পর খুড়ে খুড়ে নিভৃতি খুঁজেছি। তোমার তোমাকে আমি ছুঁতে পারি নাই। যেভাবে ঝিনুক খুলে মুক্ত খোঁজে লোকে আমাকে খুলেই তুমি পেয়েছো অসুখ, পেয়েছো কিনারাহীন আগুনের নদী। শরীরের তীব্রতম গভীর উল্লাসে তোমার চোখের ভাষা বিস্ময়ে পড়েছি- তোমার তোমাকে আমি ছুঁতে পারি নাই। জীবনের ’পরে রাখা বিশ্বাসের হাত কখন শিথিল হয়ে ঝ’রে গেছে পাতা। কখন হৃদয় ফেলে হৃদপিন্ড ছুঁয়ে বোসে আছি উদাসীন আনন্দ মেলায়- তোমাকে পারিনি ছুঁতে-আমার তোমাকে, ক্ষাপাটে গ্রীবাজ যেন, নীল পটভূমি তছ নছ কোরে গেছি শান্ত আকাশের। অঝোর বৃষ্টিতে আমি ভিজিয়েছি হিয়া- তোমার তোমাকে আমি ছুঁতে পারি নাই।। খতিয়ান ‘হাত বাড়ালেই মুঠো ভরে যায় ঋণে অথচ আমার শস্যের মাঠ ভরা। রোদ্দুর খুঁজে পাই না কখনো দিনে, আলোতে ভাসায় রাতের বসুন্ধরা। টোকা দিলে ঝরে পচা আঙুলের ঘাম, ধস্ত তখন মগজের মাস্তুল নাবিকেরা ভোলে নিজেদের ডাক নাম চোখ জুড়ে ফোটে রক্তজবার ফুল। ডেকে ওঠো যদি স্মৃতিভেজা ম্লান স্বরে, উড়াও নীরবে নিভৃত রুমালখানা পাখিরা ফিরবে পথ চিনে চিনে ঘরে আমারি কেবল থাকবে না পথ জানা– টোকা দিলে ঝরে পড়বে পুরনো ধুলো চোখের কোণায় জমা একফোঁটা জল। কার্পাস ফেটে বাতাসে ভাসবে তুলো থাকবে না শুধু নিবেদিত তরুতল জাগবে না বনভূমির সিথানে চাঁদ বালির শরীরে সফেদ ফেনার ছোঁয়া পড়বে না মনে অমীমাংসিত ফাঁদ অবিকল রবে রয়েছে যেমন শোয়া হাত বাড়ালেই মুঠো ভরে যায় প্রেমে অথচ আমার ব্যাপক বিরহভূমি ছুটে যেতে চাই– পথ যায় পায়ে থেমে ঢেকে দাও চোখ আঙুলের নখে তুমি।’

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

ভালবাসার কবিতা

নষ্ট হবে

এত হাসি কোথায় পেলে