বৈশিষ্ট্যযুক্ত পোস্ট

কবিতা

ছবি
Facebook.com/gorabasunia এ পৃথিবীর বুকে তুমি প্রস্ফুটিত সব চেয়ে সুন্দর তম ফুল, শুধু তোমা কেই দেখার জন্যে আমার হৃদয় হয় আকুল, তোমাকে সুন্দর লাগে তাই দেখি সেকি মোর কোন ভুল ? তোমার জন্যে কেঁদে কেঁদে মরে আমার পরাণ বুলবুল। শিশিরে ভেজা পাপড়ির মত ঠোট মেঘের মত নরম চুল, ফুলের চেয়েও রূপসী যে তুমি হরিণ নয়ন তোমার অতুল । তোমার রুপের আসক্তিতে ভাসে আমার হৃদয়ের দু কূল, তুমি সব চেয়ে সুবাসিত বিনোদিনী আমার বাগিচার ফুল ।

দশটি প্রেমের কবিতা

১০টি নির্বাচিত প্রেমের কবিতা অনেক ছিল বলার অনেক ছিল বলার কাজি নজরুল ইসলাম অনেক ছিল বলার, যদি সেদিন ভালোবাসতে। পথ ছিল গো চলার, যদি দু’দিন আগে আসতে। আজকে মহাসাগর-স্রোতে চলেছি দূর পারের পথে ঝরা পাতা হারায় যথা সেই আঁধারে ভাসতে। গহন রাতি ডাকে আমায় এলে তুমি আজকে। কাঁদিয়ে গেলে হায় গো আমার বিদায় বেলার সাঁঝকে। আসতে যদি হে অতিথি ছিল যখন শুকা তিথি ফুটত চাঁপা, সেদিন যদি চৈতালী চাঁদ হাসতে। নিঃসঙ্গতা নিঃসঙ্গতা আবুল হাসান অতোটুকু চায় নি বালিকা! অতো শোভা, অতো স্বাধীনতা! চেয়েছিলো আরো কিছু কম, আয়নার দাঁড়ে দেহ মেলে দিয়ে বসে থাকা সবটা দুপুর, চেয়েছিলো মা বকুক, বাবা তার বেদনা দেখুক! অতোটুকু চায় নি বালিকা! অতো হৈ রৈ লোক, অতো ভিড়, অতো সমাগম! চেয়েছিলো আরো কিছু কম! একটি জলের খনি তাকে দিক তৃষ্ণা এখনি, চেয়েছিলো একটি পুরুষ তাকে বলুক রমণী আত্মহত্যার অস্ত্রাবলি আত্মহত্যার অস্ত্রাবলি হুমায়ুন আজাদ স্লিপিং টেবলেট খেয়ে অনায়াসে ম’রে যেতে পারি বক্ষে ঢোকানো যায় ঝকঝকে উজ্জ্বল তরবারি কপাল লক্ষ্য ক’রে টানা যায় অব্যর্থ ট্রিগার ছুঁয়ে ফেলা যায় প্রাণবাণ বৈদ্যুতিক তার ছাদ থেকে লাফ দেয়া যায় ধরা যায় ভোরবেলাকার রেলগাড়ি অজস্র অস্ত্র আছে যে-কোনো একটি দিয়ে আত্মহত্যা ক’রে যেতে পারি এবং রয়েছো তুমি সবচেয়ে বিষাক্ত অস্ত্র প্রিয়তমা মৃত্যুর ভগিনী তোমাকে ছুঁলে দেখলে এমনকি তোমার নাম শুনলে আমার ভেতরে লক্ষ লক্ষ আমি আত্মহত্যা করি। চিঠি দিও চিঠি দিও মহাদেব সাহা করুণা করেও হলেও চিঠি দিও, খামে ভরে তুলে দিও আঙুলের মিহিন সেলাই ভুল বানানেও লিখি প্রিয়, বেশি হলে কেটে ফেলো তাও, এটুকু সামান্য দাবি চিঠি দিও, তোমার শাড়ির মতো অক্ষরের পাড় বোনা একখানি চিঠি চুলের মতন কোন চিহ্ন দিও বিষ্ময় বোঝাতে যদি চাও। সমুদ্র বোঝাতে চাও, মেঘ চাও, ফুল পাখি, সবুজ পাহাড় বর্ণনা আলস্য লাগে তোমার চোখের মতো চিহ্ন কিছু দাও। আজোতো অমল আমি চিঠি চাই, পথ চেয়ে আছি আসবেন অচেনা রাজার লোক তার হাতে চিঠি দিও, বাড়ি পৌছে দেবে। এক কোনে শীতের শিশির দিও এক ফোঁটা, সেন্টের শিশির চেয়ে তৃনমূল থেকে তোলা ঘ্রাণ এমন ব্যস্ততা যদি শুদ্ধ করে একটি শব্দই শুধু লিখো, তোমার কুশল! ওইতো রাজার লোক যায় ক্যাম্বিসের জুতো পায়ে, কাঁধে ব্যাগ, হাতে কাগজের একগুচ্ছ সীজন ফ্লাওয়ার কারো কৃষ্ণচূড়া, কারো উদাসীন উইলোর ঝোঁপ, কারো নিবিড় বকুল এর কিছুই আমার নয় আমি অকারণ হাওয়ায় চিৎকার তুলে বলি, আমার কি কোনো কিছু নেই? করুনা করেও হলে চিঠি দিও, ভুলে গিয়ে ভুল করে একখানি চিঠি দিও খামে কিছুই লেখার নেই তুব লিখো একটি পাখির শিস একটি ফুলের ছোটো নাম, টুকিটাকি হয়তো হারিয়ে গেছে কিছু হয়তো পাওনি খুঁজে সেইসব চুপচাপ কোনো দুপুরবেলার গল্প খুব মেঘ করে এলে কখনো কখনো বড়ো একা লাগে, তাই লিখো করুণা করেও হলে চিঠি দিও, মিথ্যা করেও হলে বলো, ভালোবাসি। উত্তর click to collapse contents উত্তর শামসুর রাহমান তুমি হে সুন্দরীতমা নীলিমার দিকে তাকিয়ে বলতেই পারো ‘এই আকাশ আমার’ কিন্তু নীল আকাশ কোনো উত্তর দেবেনা। সন্ধ্যেবেলা ক্যামেলিয়া হাতে নিয়ে বলতেই পারো, ‘ফুল তুই আমার’ তবু ফুল থাকবে নীরব নিজের সৌরভে আচ্ছন্ন হয়ে। জ্যোত্স্না লুটিয়ে পড়লে তোমার ঘরে, তোমার বলার অধিকার আছে, ‘এ জ্যোত্স্না আমার’ কিন্তু চাঁদিনী থাকবে নিরুত্তর। মানুষ আমি, আমার চোখে চোখ রেখে যদি বলো, ‘তুমি একান্ত আমার’, কী করে থাকবো নির্বাক ? তারায় তারায় রটিয়ে দেবো, ‘আমি তোমার, তুমি আমার’। যাত্রাভঙ্গ যাত্রাভঙ্গ নির্মলেন্দু গুন হাত বাড়িয়ে ছুঁই না তোকে মন বাড়িয়ে ছুঁই, দুইকে আমি এক করি না এক কে করি দুই। হেমের মাঝে শুই না যবে, প্রেমের মাঝে শুই তুই কেমন কর যাবি? পা বাড়ালেই পায়ের ছায়া আমাকেই তুই পাবি। তবুও তুই বলিস যদি যাই, দেখবি তোর সমুখে পথ নাই। তখন আমি একটু ছোঁব হাত বাড়িয়ে জড়াব তোর বিদায় দুটি পায়ে, তুই উঠবি আমার নায়ে, আমার বৈতরণী নায়ে। নায়ের মাঝে বসবো বটে, না-এর মাঝে শোবো, হাত দিয়েতো ছোঁব না মুখ দুঃখ দিয়ে ছোঁব। ঋণ ঋণ চৌধুরী কামরূল আহসান হে নারী, তোমার কাছে বিশেষ প্রার্থনা আমার এক রাত থোকে তুমি আমার কাছে পালঙ্কে শুয়ে আমার পাশাপাশি, দেহের সমস্ত উষ্ণতা ঢেলে দিও আমার শরীরে, আড়াল করো আমাকে তোমার লজ্জা দিয়ে, জানি, কোন নারী জীবনে রয়না চিরদিন, এক জীবনে শুধতে হবে বহু নারীর ঋণ। সে সে জীবনানন্দ দাস আমাকে সে নিয়েছিলো ডেকে; বলেছিলোঃ 'এ নদীর জল তোমার চোখের মত ম্লান বেতফল; সব ক্লান্তি রক্তের থেকে স্নিগ্ধ রাখছে পটভূমি; এই নদী তুমি।' 'এর নাম ধানসিঁড়ি বুঝি?' মাছরাঙাদের বললাম; গভীর মেয়েটি এসে দিয়েছিলো নাম। আজো আমি মেয়েটিকে খুঁজি; জলের অপার সিঁড়ি বেয়ে কোথায় যে চলে গেছে মেয়ে। সময়ের অবিরল শাদা আর কালো বনানীর বুক থেকে এসে মাছ আর মন আর মাছরাঙাদের ভালোবেসে ঢের আগে নারী এক - তবু চোখ ঝলসানো আলো ভালোবেসে ষোলো আনা নাগরিক যদি না হয়ে বরং হতো ধানসিঁড়ি নদী। আকাশলীনা আকাশলীনা জীবনানন্দ দাশ সুরঞ্জনা, অইখানে যেয়োনাকো তুমি, বোলোনাকো কথা অই যুবকের সাথে; ফিরে এসো সুরঞ্জনা : নক্ষত্রের রুপালি আগুন ভরা রাতে; ফিরে এসো এই মাঠে, ঢেউয়ে; ফিরে এসো হৃদয়ে আমার; দূর থেকে দূরে - আরও দূরে যুবকের সাথে তুমি যেয়োনাকো আর। কী কথা তাহার সাথে? - তার সাথে! আকাশের আড়ালে আকাশে মৃত্তিকার মতো তুমি আজ : তার প্রেম ঘাস হয়ে আসে। সুরঞ্জনা, তোমার হৃদয় আজ ঘাস : বাতাসের ওপারে বাতাস - আকাশের ওপারে আকাশ। কেউ কথা রাখেনি কেউ কথা রাখেনি সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় বুকের মধ্যে সুগন্ধি রুমাল রেখে বরুনা বলেছিল, যেদিন আমায় সত্যিকারের ভালোবাসবে সেদিন আমার বুকেও এরকম আতরের গন্ধ হবে। ভালোবাসার জন্য আমি হাতের মুঠোয় প্রাণ নিয়েছি দুরন্ত ষাঁড়ের চোখে বেঁধেছি লাল কাপড় বিশ্বসংসার তন্ন তন্ন করে খুঁজে এনেছি ১০৮টা নীলপদ্ম তবু কথা রাখেনি বরুনা, এখন তার বুকে শুধুই মাংসের গন্ধ এখনো সে যে কোনো নারী। কেউ কথা রাখেনি, তেত্রিশ বছর কাটলো, কেউ কথা বলেনি। এই টুকুইতো চৌধুরী কামরুল আহসান এইটুকুইতো চেয়েছি, ছোট এক দ্বীপ হতে বিশাল সাগরের বুকে অথবা তুমি যদি মিষ্টি করে হাসো ছোট্র এক তিল হই তোমার চিবুকে।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

কবিতা

মা

যাতায়াত